ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
অমিত শাহের পথে হাঁটলেন না দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জনজাতিদের কোনো তোয়াজই করেন নি।কোনো গুরুত্বই দেন নি প্রদ্যুৎ কিশোরকে।প্রধানমন্ত্রী মুখে নেন নি প্রদ্যুৎ কিশোরের নামও।শরিক দল তিপ্রামথা বা আইপিএফটি নামও কণ্ঠে ধরেন নি নরেন্দ্র মোদী।
ভাষণের শুরুতেই তিনি বাংলা ভাষায় সম্বোধন করেছেন ত্রিপুরাবাসীকে।তারপর ককবরক ভাষায়।
সুকৌশলে রাজ্যের অন্যতম প্রধান ভাষা
বাংলা সম্মান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ বিশ্লেষণ করে বলছেন প্রাজ্ঞ রাজনীতিকরা।
দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য সফরে এসে তিপ্রামথার ফাউন্ডার প্রদ্যুৎ কিশোরের ভুয়সী প্রশংসা করেছিলেন। প্রদ্যুৎ কিশোরকে “রাজা” বলে সম্বোধন করেছিলেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই রাজ্যের জনজাতিদের সঙ্গে সুবিচার করা হয় নি। তার জন্য অবশ্যই এক্ষেত্রে অমিত শাহ দায়ী করেছিলেন কমিউনিস্টদের।সর্বপরি অমিত শাহের ভাষণ জুড়ে ছিল রাজ্যের জনজাতিরা। অমিত শাহ তাঁর ভাষণে তিপ্রামথা, আইপিএফটি দুই শারিকের কথা তুলে ধরেছিলেন।
রাজনীতিকরা বলছেন, অমিত শাহের ভাষণে তুলনামূলক ভাবে জনজাতি তোষণের আভাস পাওয়া গিয়েছিলো। তবে অমিত শাহ কুমারঘাটে করেছিলেন সভা।এটি মূলত পূর্ব ত্রিপুরা আসনের অন্তর্ভুক্ত। রাজনীতিকদের যুক্তি, যেহেতু পূর্ব আসন জনজাতি সংরক্ষিত,তাই তিনি জনজাতি ইস্যুর উপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন ভাষণে। অমিত শাহের ভাষণের পর পূর্ব ত্রিপুরার বিজেপির নেতা – কর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছিলো, তাহলে কি এই আসনে বাঙালি নেই? বাঙালিদের(জাতি )জন্য খুব কম শব্দ ব্যবহার করেছিলেন অমিত শাহ। এই বিষয়টি পূর্ব আসনের বাঙালি মধ্যে নিশ্চিত ভাবে রেখাপাত করেছে।কারণ পূর্ব আসনের বড় অংশের বাঙালি ভোটার সংখ্যাও রয়েছে। এই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রেখেছে বিজেপি নেতৃত্বও।
বুধবার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুরোপুরি ভাবেই প্রদ্যুৎ কিশোরকে গুরুত্বহীন করে দিয়েছে।তিনি ভাষণে প্রদ্যুৎ কিশোরের নামও মুখে নেন নি। ভাষণ দিয়েছেন সার্বিক ভাবে। জনজাতিদের আলাদা করে টপ গিয়ারে তুলেন নি। নমন জানিয়েছেন মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্যকে। প্রধানমন্ত্রী বিজেপি সরকারের জোট শরিক তিপ্রামথা ও আইপিএফটিকে নাম উচ্চারণও করেন নি। নরেন্দ্র মোদী তাঁর ভাষণের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, তিপ্রামথা ও আইপিএফটিকে আলাদা করে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।