ডেস্ক রিপোর্টার,২৫ মার্চ।।
   দক্ষতার দিক দিয়ে পিছিয়ে নেই রাজ্যের মহিলা পুলিশ।প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাট থেকে
গ্রেফতার করলো নাবালিকা অপহরনকারীকে।উদ্ধার করেছে আইনের ভাষায় অপহৃতা নাবালিকাকে।এই মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন কৈলাসহর
থানার মহিলা সাব-ইনস্পেক্টর পম্পি নাথ।অপহরনকারী ও অপহৃতা নাবালিকা এখন আছে  কৈলাসহর থানায় তত্ত্বাবধানে। উভয়কেই পুলিশ সোমবার আদালতে সোপর্দ করেছে।
   ২০২৩- র ১৮ ডিসেম্বর। কৈলাসহরের এক বাসিন্দা থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের উপপাদ্য বিষয় ছিলো, ” এই ব্যক্তির নাবালিকা মেয়েকে কাঞ্চনপুরের এক যুবক অপহরন করে নিয়ে যায়।” এই অভিযোগ মূলে কৈলাসহর মহিলা থানার পুলিশ একটি মামলা রুজু করে। মামলার নম্বর ৭০/২০২৩। ভারতীয় দণ্ড বিধির ৩৬৬ ধারায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। তদন্তে নামে পুলিশ। মামলার অনুসন্ধানকারী পুলিশ আধিকারিক মহিলা সাব- ইনস্পেক্টর পম্পি নাথ সাইবার ক্রাইমের আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অপহরনকারীর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হন। তদন্তকারী পুলিশ জানতে পারে অপহরনকারী যুবক মেয়েটিকে নিয়ে গুজরাটের আমেদাবাদে অবস্থান করছে। এরপর কৈলাসহর থানার পুলিশ গুজরাট পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। অপহরণকারী গ্রেফতার করতে পম্পি নাথের নেতৃত্বে কৈলাসহর থানার একটি পুলিশ টিম ছুটে যায় গুজরাটে। স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগিতায় অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।উদ্ধার করে অপহৃতাকেও। জানিয়েছেন  কৈলাসহরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জয়ন্ত কর্মকার।


পুলিশ অভিযুক্ত যুবক ও নাবালিকাকে রবিবার কৈলাসহর থানায় নিয়ে আসে।সোমবার তাদেরকে তোলা হয়েছে কৈলাশহর দায়রা আদালতে। তবে নাবালিকা মেয়েটিকে কি সত্যিই অপহরন করা হয়েছে? নাকি মেয়েটি  স্বেচ্ছায় হাত ধরেছিল গ্রেফতার হওয়া ছেলেটির? প্রশ্ন উঠছে জনমনে। তবে এই মামলার তদন্তে প্রমাণিত হলো পিছিয়ে নেই রাজ্যের মহিলা পুলিশ কর্মীরাও। তারাও তদন্তের দিক দিয়ে বেশ সরগড়। তার জন্য অবশ্যই প্রয়োজন ইচ্ছা শক্তি। পুলিশের খাতায় এরকম বহু মামলা আছে, যেগুলো আজও ক্লোজ চ্যাপ্টার হয়ে শোভা বর্ধন করছে থানার আলমিরাগুলিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *