ডেস্ক রিপোর্টার, ৩০ডিসেম্বর।।
গোটা বিশ্বে হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয়স্থান গুলির মধ্যে “সিতাকুণ্ড” একটি। সীতাকুণ্ড বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলায়। চট্টগ্রাম শহর থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত। হিন্দু ধর্মে কথিত আছে, ভগবান রাম চন্দ্র ১৪বছরের বনবাস কালে এখানে এসেছিলেন। এখানে এসেই একটি কুণ্ডে স্নান করেছিলেন দেবী সিতা।তার নাম হয়েছিলো সিতাকুণ্ড। এই নামেই গোটা অঞ্চলটির নাম হয় সিতাকুণ্ড। এই কুণ্ড নির্মান করেছিলেন মহামুনি ভার্গব।
এখন হিন্দুদের ধর্মীয় স্থান সিতাকুণ্ড দখল নিতে চাইছে বাংলাদেশের উগ্র মুসলিমরা। শুক্রবার সেই দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন সিতাকুণ্ডর ভিতরে প্রবেশ করে। দখল নেয় গোটা চন্দ্রনাথ মন্দির। এরা মন্দিরে নামাজ পড়ে। আজান দেয়। ভক্ষণ করেছে গরুর মাংস। এবং চন্দ্রনাথ মন্দিরের চূড়ায় ইসলামের পতাকা লাগিয়ে দেয়। “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একথা স্বীকার করেছে মুসলিম যুবকরাই।”
উপস্থিত হিন্দু লোকজন ঘটনার প্রতিবাদ করতেই তাদেরকে মারধর করে। এই ঘটনা কেন্দ্র করে বাংলাদেশে সিতাকুণ্ড অঞ্চলে হিন্দু – মুসলিমের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। যদিও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তবে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয় নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন দুপুরে মুসলিম সম্প্রদায়ের শতাধিক যুবক সিতাকুণ্ডতে প্রবেশ করে। “আল্লাহ আকবর” ধ্বনি দিতে দিতে উগ্র মুসলিমরা চন্দ্রনাথ পাহাড়ে উঠে। এবং প্রবেশ করে মন্দিরে। ভগবান শিবের মন্দিরে প্রবেশ করে নামাজ পড়ে।পাশেই বসে তারা দুপুরের খাবারের সঙ্গে গরুর মাংস ভক্ষণ করে। শেষে মন্দিরের বিভিন্ন জায়গাতে মৌলবাদী মনোভাবাপন্ন মুসলিমরা হোডিং সেটে দিয়ে দাবী করে গোটা মন্দিরটি তাদের।
এই ঘটনা জানাজানি হতেই মাঠে নামে বাংলাদেশের জাগো হিন্দু পরিষদের কর্মীরা। তারা এর প্রতিবাদ জানায়। তখনই হিন্দু পরিষদের কর্মীদের উপর হামলা করে উগ্র মুসলিমরা। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলে হিন্দু পরিষদের কর্মীরাও। দুই পক্ষের মধ্যে প্রকাশ্যেই হামলা – পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে হিন্দু পরিষদের পক্ষে কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চট্টগ্রাম মহানগরের পুলিশ প্রশাসন। তারা এসে দুই পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এদিন মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের এই আচরণ কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না ওপারের হিন্দু বাঙালিরা।
সিতাকুন্ডকে নিয়ে উগ্র মুসলিমরা আগামী দিনে যে আরোও ভয়াবহ পরিকল্পনা নিতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। এই কারণেই “সিতাকুণ্ডকে রক্ষা করার জন্য স্থায়ী সমাধান চাইছেন বাংলাদেশের হিন্দু পরিষদের নেতৃত্ব সহ সাধারণ হিন্দু বাঙালিরা।
ঘটনার পর হিন্দু পরিষদের নেতৃত্ব “সিতাকুণ্ড”তে মুসলিমদের সাটানো হোডিং ফেলে দিয়ে নিজেদের হোডিং লাগিয়ে দেয়। ভোটের মুখে হিন্দু মন্দিরে উগ্র মুসলিমদের এই কার্যকলাপের তীব্র নিন্দার ঝড় বইছে গোটা বাংলাদেশে।