ডেস্ক রিপোর্টার, ১৪এপ্রিল।।
“এসো, এসো হে বৈশাখ।
তাপস নি:শ্বাস বায়ে মুমূর্ষরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক।”
সময়ের চাকা আরও এক পাক ঘুরে এল। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে আজ রোববার শুরু হলো ১৪৩১ সনের দিন গণনা। বাঙালির জীবনে বৈশাখ মাসের এই প্রথম দিনটি কেবল বর্ষ শুরুর সূচনা দিনেই সীমিত নয়। নতুন বছরের নতুন দিনটি উদ্যাপিত হয় সবচেয়ে বড় উৎসবের উপলক্ষ হিসেবে। ঋতুভিত্তিক এই অসাম্প্রদায়িক উৎসব পালিত হয় বাঙালির ঘরে ঘরে। তবে অন্যান্য জাতি – ধর্মের মানুষও বাংলা নববর্ষের আনন্দে গা ভাসিয়ে থাকেন।
ভারত বর্ষের ত্রিপুরা, পশ্চিম বাংলা, অসম সহ বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোটি কোটি বাঙালির ঘরে ১লা বৈশাখ পালিত হয় আড়ম্বরে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাঙালিরাও মেতে উঠেন ১লা বৈশাখ নিয়ে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে পয়লা বৈশাখে নববর্ষ উদ্যাপন হয় দিন ভর নানান বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।বাস্তব অর্থে, পয়লা বৈশাখের এই উৎসব হয়ে উঠেছে বাঙালির জাতিসত্তা ও সংস্কৃতি উদ্যাপনের এক বিপুল বর্ণাঢ্য মহোৎসব।
বাঙালির ঘরে ঘরে ১লা বৈশাখে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়াতেও বাঙালির ঐতিহ্যবাহী নানা রকমের পদগুলো রান্নায় সচেষ্ট হবেন। সকালের প্রাত: রাশ বা দুপুরের ভোজে বাঙালির পাতে উঠবে ইলিশ মাছের ভাজা, নানান রকমের মাছ,মাংস।,সঙ্গে থাকবে ভর্তা-ভাজি, ডাল, ঘন্ট, টক-ঝাল, ঝোলের সুস্বাদু ব্যঞ্জন। বাদ পড়বে না মিষ্টিও।
নতুন বছর মানেই একটি নতুন সম্ভাবনা। নতুন বছরে, নতুন দিনের এই উদ্যাপনে পুরোনো বছরের ব্যর্থতার গ্লানি, অক্ষমতার আক্ষেপ কাটিয়ে নতুন উদ্যমে দেশ, জাতি, সমাজ ও ব্যক্তিজীবনের সমৃদ্ধি অর্জনের প্রেরণাও থাকবে। প্রত্যয় থাকবে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে প্রগতির পথে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার।